Wednesday, July 13, 2016

যেভাবে একটি আর্টিকেল সুন্দর ও আকর্ষণীয় করবেন

আপনি যদি একজন অনলাইন আর্টিকেল লেখক(content writer) হন, আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে কিভাবে একটি আর্টিকেল সুন্দর ও আকর্ষণীও করতে হয়। একটি সুন্দর আর্টিকেলই পারে পাঠককে মুগ্ধ করতে ও পরবর্তী আর্টিকেল এর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করাতে। প্রতিটি খবরের কাগজেই গুরুত্তপুর্ন সকল খবরই পাওয়া যায়। তারপরও কেন কিছু খবরের কাগজের জনপ্রিয়তা থাকে আকাশচুম্বী? দাম, কাগজের মান, আকর্ষণীয় ছবি নাকি লেখার মান? এখানে কি লেখকের ভূমিকা স্বীকার করবেন না? আকর্ষণীয় লেখা তৈরি করতে হলে আপনাকে শিরোনাম (Title), ভূমিকা (Introduction), বিবরণ (Article Body) এবং সমাপ্তি (Conclusion)-এই সকল বিষয় নিয়ে আলাদা করে ভাবতে হবে।
আমি এখানে একজন আর্টিকেল রাইটার হিসেবে আলোচনা করব আর্টিকেল যেভাবে আকর্ষণীয় করে তুলবেন।

ব্যাকরণে এক কথায় প্রকাশ=আর্টিকেলে এক লাইনে প্রকাশ=শিরোনামঃ


‘অকালে পেকেছে যে’ কথাটি বোঝাতে ‘অকালপক্ব’ শব্দটিই যথেষ্ট সাথে রসবোধও তৈরি করে। তেমনি আর্টিকেলের শিরোনাম দেখলে তার বিষয় বস্তু সম্পর্কে পুরো ধারনা পাওয়া যাবে, সেই সাথে আর্টিকেলটি পড়ার আগ্রহ বা আকর্ষণ তৈরির দায়িত্ব শিরোনামকেই নিতে হবে। তবে এক বিষয় অথবা একাধিক বিষয় হলেও আগে বিষয়গুলো একটি খাতায় লিখুন তারপর সকল বিষয়ের শিরোনামগুলো ঠিক করুন।
উল্টাপাল্টা লাগছে? আচ্ছা আমি সহজ করে বলছি।

ধরুন আপনার বিষয়গুলো হলঃ
১। আর্টিকেল সুন্দর করার টিপস।
২। আর্টিকেল লেখার পরের কিছু টিপস।


শিরোনাম হতে পারেঃ
১। যেভাবে একটি আর্টিকেল সুন্দর ও আকর্ষণীও করবেন।
২। খুবসহজে আর্টিকেলকে নির্ভুল ও গ্রহণযোগ্য করে তুলুন।
আমার একটি বদ অভ্যাস আছে, আমি খবরের কাগজ পড়তে গেলেও আগে শিরোনাম পড়ে শেষ দেই। তারপর বেছে বেছে দু-একটা বিস্তারিত পড়ি। আমার মত যারা আছে তাদেরকে তো শুধু সুন্দর একটি শিরোনাম দিয়েই পাঠক বানাতে পারেন।

বিবরণের প্রতিটি অংশ একেকটি আর্টিকেলঃ
বিবরণের প্রতিটি অংশকে শুধুমাত্র অংশ মনে না করে একেকটি আর্টিকেল মনে করেন। যে আর্টিকেলে শিরোনাম, ভূমিকা, বিবরণ ও সমাপ্তি সবই থাকবে। প্রতিটি অংশের একটি শিরোনাম দিন। প্রথম লাইনকে ভূমিকা, শেষ লাইনকে সমাপ্তি এবং মাঝের অংশটুকু বিবরন কল্পনা করে লিখুন। এছারা প্রতিটি অংশের আয়তনের খুব বেশি পার্থক্য জেন না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। এর মানে দাঁড়ালো কোন পাঠক যদি শুধুমাত্র শিরোনামগুলু দেখে চলে যায় তবুও যেন সে আর্টিকেল এর বিষয়টি সম্পর্কে ধারনা নিয়ে জেতে পারে(বুঝে নিতে পারে)। এছাড়া শিরোনামগুলো পড়লেই সে বুঝতে পাড়বে আর্টিকেলটি তার জন্য কতটা প্রয়োজনীয় হতে পারে। আচ্ছা আপনার কি মনে হয় শিরোনামগুলোতেই সকল কিছু পেয়ে গেলে সে চলে যাবে? আরে না- প্রতিটি শিরোনাম তো তাকে কান ধরে ওই অংশটুকু পড়তে বাধ্য করবে।

ভূমিকা আর্টিকেলের আয়না যেখানে আর্টিকেলের ছায়া দেখা যাবেঃ
আয়নার দিকে তাকালে মানুষের ছায়া দেখা যায়, ভুমিকার দিকে তাকালে আর্টিকেলের ছায়া দেখা যাবে। বলুনতো মানুষ আগে না ছায়া আগে? নিশ্চয়ই মানুষ। তাহলে আপনি বিবরণ তৈরি না করে কি করে সুন্দর ভূমিকা তৈরি করবেন? বিবরনে যা লিখলেন তারই সারগর্ভ ভুমিকাতে লিখুন। সহজ করে বললে ভুমিকাতে ৩ টি প্রশ্নের উত্তর দেয়া উচিত - ১) কাদের জন্য লিখছেন? এ অংশে আমি লিখেছি আর্টিকেল রাইটারদের কথা যাতে সহজে পাঠক বুঝতে পারে এটি তার জন্য লেখা কিনা, ২) কি প্রয়োজনে লিখছেন? এ অংশে আমি লিখেছি আর্টিকেল এর উদ্দেশ্য যাতে সহজে পাঠক বুঝতে পারে এটি তার কাজে লাগবে কিনা এবং কি কি লিখছেন? এ অংশে আমি বিবরন অংশের উপর আলোকপাত করেছি যাতে সহজে পাঠক বুঝতে পারে এটিতে তার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য আছে কিনা। এভাবে লিখলে ভূমিকাটি আর্টিকেল হবেনা কিন্তু আর্টিকেলের ছায়া অবশ্যই হবে। তবে মনে রাখতে হবে ভুমিকার আয়তন আর্টিকেলের আয়তনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ থাকতে হবে।

সমাপ্তি - সব শেষ, কি যেন আকর্ষণ রয়ে গেলঃ
এই অংশে এমন কিছ্য করুন যাতে পাঠক মনে করে শেষ করলেন কিন্তু শেষ হয়নি আরও কি যেন আছে। ধুম্পানের শেষটান যেন ধুম্পান করা শেষ তবুও কি যেন ফেলে দিলেন। তবে সমাপ্তি ছোট করার দিকে মনযোগী হবেন। আপনি কি রাইটার নন? ওহ, যান তো ভাই এ আর্টিকেল আপনার জন্য না, আপনার জন্য - ‘কন্টেন্ট রাইটিং কি পেশা হিসেবে নেয়া যাবে?-নতুনদের জন্য কিছু কথা’আর্টিকেলটি। গ্রহণযোগ্য হলে আগামীতে চেষ্টা করব ‘খুবসহজে আর্টিকেলকে নির্ভুল ও গ্রহণযোগ্য করুন’ এর উপর কিছু লিখতে।